Tax VAT Business Consultants

বাংলাদেশে ট্যাক্স রিটার্ন সল্যুশন বলতে বোঝায়—একটি এমন পদ্ধতি বা সেবা, যার মাধ্যমে ব্যক্তি, ব্যবসায়ী বা কোম্পানি তাদের বার্ষিক আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়সহ কর সংক্রান্ত তথ্যাদি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (NBR) দাখিল করে, এবং সে অনুযায়ী সরকারকে আয়কর পরিশোধ করে। এই সমাধান হতে পারে সফটওয়্যারভিত্তিক (যেমন: eReturn প্ল্যাটফর্ম), অথবা একজন পেশাদার ট্যাক্স কনসালট্যান্টের (Tax Consultant) সহযোগিতায়, যিনি করদাতার হয়ে পূর্ণাঙ্গ কর ফাইল তৈরি করে থাকেন।

এই ট্যাক্স রিটার্ন সল্যুশনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে—করদাতাকে সহজ, সঠিক ও আইনসম্মতভাবে কর দাখিলে সহায়তা করা, যাতে করে কোনো রকম ভুল বা জটিলতা ছাড়াই রিটার্ন গ্রহণযোগ্য হয় এবং ভবিষ্যতে অডিট বা ইনকোয়ারি হলেও জবাবদিহি সহজ হয়। করদাতাকে তার সারা বছরের আয় (যেমন: বেতন, ব্যবসায়িক লাভ, ব্যাংক সুদ, সম্পত্তি থেকে আয়), করযোগ্য ব্যয়, কর ছাড় (rebate), বিনিয়োগ এবং দান সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে হয় এবং সেগুলো নির্দিষ্ট ফর্মে সাজিয়ে রিটার্ন জমা দিতে হয়। ট্যাক্স রিটার্ন সল্যুশন এই কাজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে করে দেয়, ফলে সময় ও শ্রম উভয়ই বাঁচে।

একজন সাধারণ চাকরিজীবী ব্যক্তি, যাঁর শুধুমাত্র বেতনভিত্তিক আয় আছে, তার জন্য কর রিটার্ন সল্যুশন হলো—সঠিকভাবে আয় দেখিয়ে নির্ধারিত কর কেটে ফেলা, ফর্ম পূরণ করে অনলাইনে দাখিল এবং কর পরিশোধের রসিদ সংগ্রহ করা। তবে ব্যবসায়ী বা কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি আরও জটিল—যেখানে আয়-ব্যয়ের হিসাব, ভ্যাট সংক্রান্ত বিষয়, ইনভয়েস, অডিটেড ফিন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট, সম্পদ বিবরণী, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি যুক্ত হয়। ট্যাক্স রিটার্ন সল্যুশন প্রতিষ্ঠান বা সফটওয়্যার এসব জটিলতা থেকে রক্ষা করে।

বর্তমানে বাংলাদেশে কর রিটার্ন সল্যুশন দিতে অনেক প্রতিষ্ঠান ও সফটওয়্যার কাজ করছে—যেমন: Taxoo, TallyTax, EasyTax, Bkash Tax Service, NBR eReturn platform ইত্যাদি। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহারকারীর তথ্য নিয়ে নিজস্ব সফটওয়্যার বা এক্সপার্টের মাধ্যমে রিটার্ন ফর্ম তৈরি করে দেয়, পরবর্তী কর রেট অনুযায়ী হিসাব করে কর নির্ধারণ করে, এবং রিটার্ন দাখিল ও সার্টিফিকেট সংগ্রহ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে দেয়।

এই ধরনের সল্যুশনের মাধ্যমে করদাতারা আরও সুবিধা পান—যেমন:

  • করের উপর ছাড় বা কর ক্রেডিট সংক্রান্ত সর্বশেষ নীতিমালার প্রয়োগ;

  • প্রয়োজন হলে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল;

  • পুরাতন বছরের রিটার্ন খুঁজে পাওয়ার সিস্টেম;

  • পরবর্তীতে অডিট হলে আইনি সহায়তা;

  • নিয়মিত SMS/ই-মেইল রিমাইন্ডার দিয়ে কর দাখিলের সময় মনে করিয়ে দেওয়া।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ট্যাক্স রিটার্ন সল্যুশনের মাধ্যমে করদাতারা আইনি জটিলতা এড়িয়ে নিরাপদে ও শান্তিতে থাকতে পারেন, এবং স্বচ্ছ ও আইনানুগভাবে জাতীয় কর ব্যবস্থায় অবদান রাখতে পারেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে এটি একটি কার্যকর সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।

Leave A Comment

All fields marked with an asterisk (*) are required