ব্যবসা কি ছোট ব্যবসার আওতাভুক্ত?
যে সব ব্যবসার বার্ষিক টার্নওভার ৫০ লাখ টাকার কম, তারা মূসক (ভ্যাট) এর আওতাভুক্ত নয় – তবে তারা টার্নওভার কর বা সুনির্দিষ্ট হারে কর এর আওতায় আসতে পারে।
-
বার্ষিক টার্নওভার ≤ ৫০ লাখ টাকা → ভ্যাট নিবন্ধন প্রয়োজন নেই, কিন্তু আপনি চাইলে ঐচ্ছিক রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন।
টার্নওভার কর (Turnover Tax) কী?
এটি এক ধরনের সহজ কর ব্যবস্থা। যারা ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় পড়ে না, তারা টার্নওভার কর দিতে পারে।
| ব্যবসার ধরণ | টার্নওভার করের হার |
|---|---|
| পণ্য ব্যবসা | ৪% (টার্নওভারের উপর) |
| সেবা প্রদানকারী ব্যবসা | ৫% (টার্নওভারের উপর) |
👉 এই হার পূর্ণ বিক্রির উপর ধার্য হয়, ইনপুট ভ্যাট কাটার সুযোগ নেই।
ছোট ব্যবসার জন্য কর রেজিস্ট্রেশন (BIN) কি বাধ্যতামূলক?
না। বার্ষিক বিক্রয় যদি ৫০ লাখ টাকার কম হয়, তাহলে BIN (Business Identification Number) নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।
তবে আপনি চাইলে স্বেচ্ছায় BIN নিয়ে স্বল্প হারে কর দিতে পারেন, যেমন:
-
ভবিষ্যতে বড় ব্যবসায় পরিণত হলে সুবিধা হবে
-
সরকারি টেন্ডার বা পণ্য সরবরাহের সময় BIN প্রয়োজন হয়
ছোট ব্যবসার ভ্যাট রিটার্ন
যদি আপনি ভ্যাট নিবন্ধন করেন (স্বেচ্ছায় হলেও), তাহলে আপনাকে প্রতি মাসে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করতে হবে, এমনকি যদি বিক্রয় না-ও থাকে।
-
প্রতি মাসের পরবর্তী ১৫ তারিখের মধ্যে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে হয়
-
ফর্ম: Mushak-9.1 (অনলাইন)
ছোট ব্যবসার ভ্যাট সংক্রান্ত বিশেষ সুবিধা
✅ স্বল্প হারে কর
✅ হিসাবপত্র সহজভাবে রক্ষণ
✅ অনেক ক্ষেত্রে চালান ইস্যু করা বাধ্যতামূলক নয়
✅ বার্ষিক নিরীক্ষা প্রয়োজন নেই (টার্নওভার করের আওতায়)
ছোট ব্যবসার ভ্যাট সংক্রান্ত দায়িত্ব
যদি আপনি ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন করেন, তাহলে কিছু দায়িত্ব থাকে:
-
ভ্যাট চালান ইস্যু (যদি প্রযোজ্য হয়)
-
ক্রয় ও বিক্রয়ের হিসাব সংরক্ষণ
-
নিয়মিত রিটার্ন দাখিল
-
নির্ধারিত হারে কর পরিশোধ
অতিরিক্ত পরামর্শ
-
আপনার ব্যবসার বার্ষিক আয় ভালোভাবে নিরূপণ করুন
-
যদি আপনি সরাসরি ভোক্তার কাছে পণ্য বিক্রি করেন (যেমন: রিটেইল), তাহলে অনেক সময় ভ্যাট নিবন্ধনের প্রয়োজন হয় না
-
সরকারি বা বড় কর্পোরেট ক্লায়েন্ট থাকলে BIN নিতে হতে পারে
-
একজন ট্যাক্স কনসালট্যান্ট বা একাউন্ট্যান্টের সহযোগিতা নিতে পারেন
ছোট ব্যবসার জন্য বাংলাদেশে ভ্যাট সংক্রান্ত নিয়ম অনেকটাই সহজ। যাদের বার্ষিক বিক্রয় ৫০ লাখ টাকার নিচে, তারা বাধ্যতামূলকভাবে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশনের আওতায় পড়ে না। তবে ব্যবসার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বেচ্ছায় নিবন্ধন করে নিতে পারেন। এতে পেশাদারিত্ব বাড়ে এবং বড় ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়।
