আয়কর রিটার্নে জমি ও বাড়ির সম্পত্তির আর্থিক মূল্য সঠিকভাবে প্রদর্শন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আপনার মোট সম্পদের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং সম্পদ বিবরণীতে তা প্রতিফলিত করতে হয়। জমি ও বাড়ির মূল্য দেখাতে হলে প্রথমেই আপনি যেসব জমি বা বাড়ির মালিক, তার বৈধ দলিল (বিক্রয় চুক্তিপত্র, রেজিস্ট্রেশন কাগজ, নামজারি, খতিয়ান, দাগ নম্বর ইত্যাদি) সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
এরপর সম্পত্তি ক্রয়ের সময়কার মূল্য অথবা বর্তমান বাজারমূল্যের ভিত্তিতে একটি যৌক্তিক আনুমানিক মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। সাধারণত রিটার্নে ক্রয়ের মূল্য দেখানো হয়, তবে কোনো ক্ষেত্রে যদি আপনি অনুমানমূল্য দেখাতে চান, তাহলে স্থানীয় ভূমি অফিস বা রেজিস্ট্রি অফিস থেকে সেটির বর্তমান সরকারি নির্ধারিত বাজারমূল্য সংগ্রহ করতে পারেন। আয়কর রিটার্ন ফরমের “সম্পদ ও দায় বিবরণী” অংশে নির্দিষ্ট করে বাড়ি ও জমির বিবরণ আলাদাভাবে উল্লেখ করতে হবে – যেমন: অবস্থান, জমির পরিমাণ (শতক/বিঘা), বাড়ির আয়তন (বর্গফুট), মালিকানা অংশ (পূর্ণ/আংশিক), ক্রয়ের সাল, ও ক্রয়ের মূল্য।
যদি জমি বা বাড়ির মালিক একাধিক ব্যক্তি হন (যেমন – ভাইবোন বা স্ত্রী-স্বামীর যৌথ মালিকানা), তাহলে আপনি আপনার অংশ অনুযায়ী মূল্য ভাগ করে রিটার্নে দেখাবেন। এই সম্পদ থেকে যদি ভাড়া আয় হয়, সেটিও আয় হিসেবে আলাদা করে রিটার্নে উল্লেখ করতে হবে। সবশেষে, এসব তথ্য ঠিকভাবে পূরণ করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করলে আপনি আইন অনুযায়ী সম্পদ ঘোষণা করেছেন বলে বিবেচিত হবেন, যা ভবিষ্যতে আপনার অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা ও আইনি সুরক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
প্রয়োজনে আপনি একজন ট্যাক্স অ্যাডভাইজার বা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সহযোগিতাও নিতে পারেন, যাতে ভুল না হয়।
